, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


করোনা মোকাবিলায় আরও ১১ লাখ টিকা এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • আপলোড সময় : ০৩-০৫-২০২৩ ০৭:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৫-২০২৩ ০৭:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন
করোনা মোকাবিলায় আরও ১১ লাখ টিকা এসেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের পাশাপাশি ওমিক্রম ও ডেল্টা ভেরিয়েণ্ট মোকাবিলায় নতুন করে আরও ১১ লাখ বাইভেলেন্ট টিকা হাতে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে। শিগগিরই আরও ২০ লাখ বাইভেলেন্ট টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া শুরু করা হবে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্য যাত্রায় ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩’ উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠালগ্নের কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২ মে ১৯৭১ সালের তৎকালীন কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রথম যাত্রা শুরু হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এ কারণেই ২ মের সেই ঐতিহাসিক স্মৃতিকে মনে রেখে আজকের এই জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩ পালন করা হচ্ছে। 

বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্তমানে দেশের ৫১টি সরকারি হাসপাতালে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। এই সেবায় আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। চিকিৎসকেরাও খুশি মনে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এ জন্য এই সেবার আরও পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও ১০০ হাসপাতালে এ সেবা চালু করা হবে।’ 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন্মলগ্ন থেকে ৫২ বছর হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ হাজার শয্যা হয়েছে। ৪৫ হাজার নার্স, ৩৩ হাজার চিকিৎসক, ১৮ হাজার ক্লিনিক, যার মধ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। সব ওষুধ বর্তমানে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। চিকিৎসা শিক্ষাক্রম পরিচালনায় সরকারি ৩৭টি ও বেসরকারি ৭২টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট করা হয়েছে ১৫টি। সব মিলিয়ে গত ৫২ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্জন বলে শেষ করা যাবে না। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস

দেশে ফিরে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস